চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। দিনরাত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনাগোনা, অবস্থান লেগেই আছে হাটহাজারী উপজেলার জোবরা ও এর আশেপাশের গ্রামের মানুষের। সাথে বেড়েছে মোটর বাইক প্রতিযোগিতা। বহিরাগতরা যে কোন সময়ে প্রবেশ করছে ক্যাম্পাসে। নেই কোন বাঁধা। প্রবেশ পথে বাঁধা আসলেও সামলাতে পারছেনা নিরাপত্তা প্রহরীরা।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক অছাত্র বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আসর বসিয়ে একসঙ্গে করছেন ধূমপান, গাচ্ছেন গান। ছাত্রীদের নিয়ে করছেন বাজে মন্তব্য। চালাচ্ছেন দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল।
দেশের এই অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে হরহামেশাই চোখে পড়ে বহিরাগতরা। সন্ধ্যা হলেই শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ঝুপড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বহিরাগতদের। তাছাড়া রয়েছে ভিক্ষুক ও টোকাইদের উৎপাত।
নিয়মানুযায়ী ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের মূল ফটকসহ সবগুলো গেটেই ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার বোর্ড। এমনকি মোটরসাইকেল প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের নাকের ডগায় ঘটছে মোটরসাইকেল ও বহিরাগত প্রবেশের ঘটনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, আমারা এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি। ভবিষ্যৎতেও পরিচালিত হবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) বজল হক বলেন, কিছুদিন আগেও একজনকে বাধা দেয়ার কারণে আমাদের এক প্রহরীকে মারধার করে। জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০-১৫ জন পুলিশ বসা থাকে। তারা তো কোন সাহায্য করেনা আমাদের। আমাদের প্রহরীদের বহিরাগতরা তেমন মানে না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন