এবার রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ভিসি অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিবের বিরুদ্ধে অযোগ্য প্রার্থীকে তৃতীয়বার এডহকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসি রামেবি আইন-২০১৬ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ইউজিসি ২০১৭ সালের ৪ জুলাই ‘উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার’ শর্তে রামেবির জন্য বিভিন্ন পদে জনবল অনুমোদন করে। এছাড়া ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পত্রে ইউজিসি এডহক ও মাস্টাররোলে নিয়োগ বন্ধের নির্দেশনা দেয়। অন্যদিকে রামেবি আইন-২০১৬ এর ১৩(১০) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ‘ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে অনুমোদিত শূন্যপদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে অনধিক ৬ মাসের জন্য কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে উক্তরুপ নিয়োগের মেয়াদ অনধিক ৬ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন।’ কিন্তু গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর মোছা. উম্মে হাবিবাকে তৃতীয়বরের মতো এডহকে নিয়োগ দিয়েছেন ভিসি। এর আগে ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি প্রথম দফায় সেকশন অফিসার পদে এডহকে নিয়োগ পান। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ জুন দ্বিতীয় দফায় তার চাকরির মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় এডহক নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধির পর ২০১৮ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে চাকরি স্থায়ী করার জন্য রামেবির বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে কর্মরত পদে আবেদন করেন মোছা. উম্মে হাবিবা। কিন্তু উক্ত নিয়োগের জন্য রামেবি ভিসির নেতৃত্বে গঠিত বোর্ড তাকে নিয়োগ দেয়নি। ফলে তার চাকরি আর স্থায়ী হয়নি। সূত্র মতে, একই বছর ২৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় এডহক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলে হাবিবা’র চাকরি চলে যায়। কিন্তু গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তৃতীয়বারের মতো ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে আবারও ৬ মাসের জন্য এডহকে নিয়োগ দিয়েছেন ভিসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামেবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভিসি ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবদুল আলীমকে আস্থায় রাখতে তার বোন মোছা. উম্মে হাবিবাকে রামেবি আইন এবং ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তৃতীয়বার এডহক নিয়োগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামেবি ভিসি অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিব বলেন, উম্মে হাবিবাকে আবারও এডহকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, কাউকে দুইবারের বেশি এডহকে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে নিয়োগের কপি হাতে আছে এমনটি জানানোর পর ভিসি এনিয়ে আর কথা বলতে চাননি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল