কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্য ও একটি পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সজিব বণিককে মারধরের ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনকে এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অন্য এক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। 

এছাড়া এ বিভাগের একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ খলিফাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। অপর ঘটনায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রুবেলকে মারধরের বিষয়ে বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ নাসির উদ্দিনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ভিন ভিন্ন অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০৪ নং কক্ষে সংগঠিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০৪ নং কক্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদকে ৩ মাসের জন্য এবং ৩০৩ নং কক্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির হৃদয়কে ২ মাসের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দত্ত হলের ৫০০২ নং কক্ষের শিক্ষার্থী মিরাজ খলিফাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হবে না মর্মে মুচলেকা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের করিডোরে গত ১৩ জানুয়ারি সংগঠিত ঘটনার প্রেক্ষিতে নাসিরকে মারধরের ঘটনায় মোঃ রুবেলের চিকিৎসা ব্যয় আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রদান করবেন এবং অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনকে এক মাসের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে হামলার শিকার হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য সজিব বণিক। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ঐ সাংবাদিক। অন্য ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের করিডোরে গত ১৩ জানুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রুবেলকে মারধর করে বাংলা বিভাগের মোঃ নাসির উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন। এর প্রেক্ষিতে মারধরের বিচার চেয়ে নাসিরের পক্ষে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন