বিভিন্ন সময়ে শুন্য হওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদগুলোতে আবারও বিতর্কিতদের আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনটি থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত ও শুদ্ধিকরণের নামে চলমান অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ’-শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সাবেক দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সি।
এর আগে, বুধবার ছাত্রলীগের ৬৮টি শুন্যপদে ৬৮ জনকে মনোনয়ন দেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
অভিযোগকারীরা ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো- ‘তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে’। তবে সংবাদ সম্মেলনে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এই দুই সাবেক নেতা।
তারা অভিযোগ করেন, নতুন করে পদায়নকৃত এই ৬৮ জনের মধ্যে বয়সত্তেীর্ণ, মাদকসেবী, চাঁদাবাজির কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত, বহিষ্কৃত, বিবাহিত, চাকরিজীবী, মামলার আসামীসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী অনেকেই রয়েছেন। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পাওয়া সাগর হোসেন সোহাগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। একই পদ পাওয়া জিয়াসমিন শান্তা এবং রকিবুল হাসান পিকুল চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত। এছাড়া শুভ্রদেব হালদারের ছিনতাই মামলার আসামি। বেশ কয়েকজন আছেন বিবাহিত। এছাড়াও সহ-সভাপতি মহিন উদ্দিন ও দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বয়সত্তেীর্ণ বলে দাবি তাদের।
অভিযোগকারীরা তাদের অব্যাহতির দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমাদের কী কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিলো তা আমাদের জানানো হয়নি। কেন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী নির্বাহী সংসদের কোনো অধিবেশন ছাড়া আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হলো? আমাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, আর তা কীভাবে প্রমাণিত হয়েছে, এগুলো আমরা জানি না। এ বিষয়ে বারবার জানতে চাইলেও দায়িত্বশীলরা এড়িয়ে গেছেন। পুনঃতদন্তের আশ্বাস দিয়েও কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অভিযোগকারীরা বলেন, বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কোনো সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। তারা হয়তো তাদের দায়িত্ব উপভোগ করছেন না। এরকম হলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।
তবে বিষয়গুলো নিয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা নতুন করে যে শূন্যপদগুলো পূরণ করেছি সেখানে প্রমাণিত বিতর্কিত কেউই নেই। যাদের নামে বিতর্ক ছিল তারা সমাধান করতে পেরেছে বলেই পদ পেয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রভাবিত হয়ে কেউ কেউ এটাকে বিতর্কিত বলছে।
অব্যাহতি প্রক্রিয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এটা তারা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। আমরা দায়িত্বে আসার আগেই শোভন-রাব্বানী তাদের উপরে আসা অভিযোগের বিষয়ে প্রসেসিং করে দিয়েছিল। এমনকি তালিকাও রেডি ছিল কিন্তু তারা প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি। আমরা সেটাই প্রকাশ করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ