রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবাহানের দেয়া ১৩৮ জনের অবৈধ নিয়োগ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউসিজি) তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবে হাইকোর্ট।
নিয়োগ বাতিল চেয়ে দাখিল করা এক রিট পিটিশনের শুনানির সময় এ কথা জানান আদালত।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট পিটিশনের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ১৯ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল হক হেলাল ও অ্যাডভোকেট নাজিম মৃধা।
শুনানির বিষয়ে এডভোকেট নাজিম মৃধা জানান, আজ সকাল ১১ টায় রিট পিটিশনের শুনানি শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞ আদালত জানিয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবৈধ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে সে বিষয়ে তারা অবগত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষামন্ত্রণালয়ে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাও তারা জেনেছেন। তারা সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা দেখার পর আবার এই রিট শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। সেই সময় পর্যন্ত রিট শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী আরিফুর রহমান জানান, 'আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগ বা অন্য কারো চাকরির বিপক্ষে নই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবৈধ একটি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, এই সিস্টেমের বিপক্ষেই আমি রিট করেছি। বিদায়ী উপাচার্যের নিয়োগ দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। কেননা, গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিদায়ী উপাচার্য সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ আমরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করে পরীক্ষা দিয়েছি। সেই পরীক্ষার ফলাফল না দিয়েই এ্যাডহক ভিক্তিতে উপাচার্য অবৈধভাবে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। সেই অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির চেয়ে মূলত আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি চাই, যারা যোগ্য তারা অবশ্যই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়।'
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন