চাকরি স্থায়ী করণ ও বেতনের দাবিতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দৈনিক মুজরী ভিত্তিক কর্মচারীরা ভিসিকে তার অফিস রুমে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মুজরী ভিত্তিক কর্মচারীরা ভিসিকে তার কক্ষে রেখে অফিসের মেইন গেটে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করে। এসময় আন্দোলনরত ১৫৫ জন কর্মচারি ভিসির অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি খন্দকার নাসির উদ্দিনের সময় এসকল কর্মচারীদেরকে দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন ভিসি খন্দকার নাসির উদ্দিন পদত্যাগ করার পর হতে এসকল কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় তাদের চাকরি স্থায়ী করণ ও নিয়মিত বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাও তাদের তিন দফা দাবি আদায়ের দাবিতে বুধবার হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলম বিরতি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারাও তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ আছেন উপাচার্য। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: খায়রুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান এবং আন্দোলনকারীদের সাথে কয়েক দফা কথা বলেও আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হন।
এব্যাপারে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. একিউএম মাহাবুব এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি জরুরি মিটিং করছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তারপরও আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে আছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন