শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তিযুদ্ধ। প্রথমবারের মতো ঢাকার বাহিরে বিভাগীয় শহরগুলোর সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা।
এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৭ হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০টি। এ হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৫ জন শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর ঢাকার বাহিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এবছর প্রথমবারের মতো ঢাকার বাহিরে বিভাগীয় শহরগুলোর সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরু হলেও এবছর শুরু হবে ১১টায়। যাতে শিক্ষার্থীরা সকালে রওনা হয়ে বিভাগীয় শহরে এসে পরীক্ষা দিতে পারেন। আবার পরীক্ষা শেষে দিনে দিনেই নিজের শহরে চলে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, কয়েক দফা ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের পর থিতু হতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবছর ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পহেলা অক্টোবর, খ-ইউনিটের পরীক্ষা ২ অক্টোবর, ঘ-ইউনিট ২২ অক্টোবর, ঘ-ইউনিট ২৩ অক্টোবর, চ-ইউনিটের পরীক্ষা ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে লিখিত ও এসসিকিউ (বহুনির্বাচনী) দুটো অংশ থাকবে। ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় লিখিত অংশে ৪০ নম্বর এবং এমসিকিউ অংশে ৬০ নম্বর থাকবে। শুধু চ-ইউনিটের পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে ৪০ এবং অংকনে ৬০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
উপাচার্য বলেন, যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন, ডিজিটাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থান আছে। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই-জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে। যে কোনো জালিয়াতির প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন উপাচার্য।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর