ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম-এসএম হলের বারান্দায় ফাটল দেখা দেওয়ায় নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে আর কোনো ছাত্রকে হলটিতে সংযুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে হলটি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। একইদিনে আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি দেখতে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, সুফিয়া কামাল হলসহ কয়েকটি হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য। এসময় তার সঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া ও হল প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের দিকের বারান্দায় ফাটল দেখা যাওয়ায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেখানে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের তাদের ভারী আসবারপত্র সরিয়ে নিতে বলে হল প্রশাসন। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বুয়েটের তিন প্রকৌশলীকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও করা হয়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হলটিতে নতুন করে ছাত্র সংযুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন যে এটির ‘লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি’ (ধারণ ক্ষমতা) দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে কারণে হলটি খুবই ঝুঁকিতে আছে। সামনের ডিনস কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারি। অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, এজন্য হলটি ছাত্রদের নতুন সংযুক্তি দেওয়া হবে না।
সলিমুল্লাহ মুসলিম বা এসএম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিককার অন্যতম হল। ১৯২৯ সালের ২২ আগস্ট বাংলার তৎকালীন গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য স্যার ফ্রান্সিস স্ট্যানলি জ্যাকসন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ঢাকার নবাব বাহাদুর স্যার সলিমুল্লাহর নামানুসারে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নামকরণ করা হয়। পরে ১৯৩১ সালের ১১ আগস্ট ভবনটি উদ্বোধন করা হয়েছিলো।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন