শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও তাদের দাবির সমর্থনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়েছি। শাবিপ্রবির সামগ্রিক সহায়তায় আমরা পাশে আছি জানাতে চাই।
শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন এবং গ্রেফতার করে সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়েছে। চাঁদা সংগ্রহ করায় ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কেন? চাঁদা সংগ্রহ ছাড়া কখনো কি কোনো গণআন্দোলন সংগঠিত হয়েছে? আমরাও চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসুন গ্রেফতার করুন আমাদের। এমনটিই চিৎকার দিয়ে বলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী প্রফেসর মাইদুল ইসলাম।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক হাসান তৌফিক ইমাম বলেন, পুলিশ রাখা হয় গুণ্ডা পাহারা দেওয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ থাকবে কেন? পুলিশ থাকা মানেই বুঝতে হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মুক্তবুদ্ধির চর্চা নেই। শাবিপ্রবি ভিসির মাথায় বিবেক নেই। তিনি মেরুদণ্ডহীন। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধিকর্তা হওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবিব বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন ঘটনা ঘটছে। তবে সবগুলো ঘটনা সামনে আসছে না। ভিসি ফরিদ সাহেবের পতন করা গেলেই এই আন্দোলন সফল হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ এক ফরিদ গেলে আরেক ফরিদ আসবে। নজরটা দেওয়া প্রয়োজন ভিত্তিমূলে। নাহলে এরকম অনশন আমাদের করেই যেতে হবে।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী গোরচাঁদ ঠাকুর, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল হক, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও সোহেল চাকমা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল