৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকেল চুরির হিড়িক

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকেল চুরির হিড়িক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, দিবা-রাত্রি পাহারায় থাকেন নিরাপত্তা প্রহরী। অথচ ক্যাম্পাস থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাইকেল। সিসি টিভি ফুটেজে ঘটনা সনাক্ত হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে চোর। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও প্রশাসনের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা প্রহরী, সিসি ক্যামেরা, পুলিশ প্রশাসন থাকার পরেও একের পর এক সাইকেল চুরি হচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেছে চোর সনাক্ত হচ্ছে, কিন্তু ধরা পড়েছে না। এমনকি এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিলে আশ্বাস ছাড়া কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিরাপত্তা প্রহরীরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে এদিক-সেদিক ঘুরাফেরা করেন। ফলে চোরেরা আরো সুযোগ পাচ্ছে। আবার এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেই। ক্যাম্পাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির কেবল প্রশাসনের ব্যর্থতার ফল। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান তারা।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রতিনিয়ত সাইকেল চুরির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। আশা করি, দ্রুতই চোরদের ধরা সম্ভব হবে। তাছাড়া চুরি ঠেকাতে ক্যাম্পাসে বৃহৎ পরিসরে তিনটি গ্যারেজ স্থাপনের কাজ চলছে। যেখানে মাসে নামমাত্র মূল্যে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে সাইকেল রাখতে পারবে।

ক্যাম্পাসের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে, চোরেরা অভিনব কায়দায় এসব সাইকেল চুরি করছেন। চোরেরা বইখাতা হাতে ছাত্র সেজে ক্যাম্পাসে আসে। তারপর অপেক্ষাকৃত নতুন সাইকেলগুলো টার্গেট করে সুযোগ খুঁজতে থাকে। যখন নিরাপত্তা প্রহরী কিংবা জনসমাগম কম থাকে, তখনই এসব সাইকেল চুরি করে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে ক্যাম্পাস থেকে ১৫-টির অধিক সাইকেল চুরি হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই নতুন সাইকেল। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কর্মচারীরাও এ ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সিসি টিভি ফুটেজ দেখে আমরা চুরির ঘটনা ও চোরদের চিহ্নিত করছি। চোরদের ধরার জন্য থানায় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরাও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি।

জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ছাত্রের ছদ্মবেশে ক্যাম্পাসে আসায় চোরদের চিহ্নিত করতে সময় লাগছে, তবে খুব শীগ্রই এই চক্রকে আটক করা হবে। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর