২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:৫৮

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাদের নানা অসুবিধা তুলে ধরে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর উপাচার্যের সাথে আলোচনা শেষ হলে ফিরে গেছেন তারা।

এর আগে, রাত সোয়া ৯টার দিকে হলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসার সামনে বসে পড়েন। ছাত্রীদের অবস্থানের পরপরই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুইয়া আসেন। এরপরই সেখানে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অসুবিধা ও অভিযোগ প্রক্টরের কাছে তুলে ধরেন এবং প্রক্টরকে হলে গিয়ে তাদের সমস্যা দেখে আসতে বলেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রাতে অসুস্থ হলে প্রভোস্ট ম্যাম বলেন যে তোমাদের সব সমস্যা কি রাতেই হয়?’, ‘আমরা ক্যাম্পাস থেকে দূরে অবস্থান করলে আমরা যখন ম্যামকে বলি আমাদের বাসের ব্যবস্থা করেন, তখন তিনি বলেন, এটা কি আমার দায়িত্ব?’ একজন প্রভোস্টের মুখ থেকে এসব কথা আমরা কেন শুনবো? আমরা এই অযোগ্য প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে প্রক্টরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন

তিনি বলেন, শিক্ষকদের অভিভাবকের মতো আচরণ করতে হবে। তারা শিক্ষার্থীদের সমস্যা দেখবে, এটাই হওয়া উচিত। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা না হোক। একজন প্রশাসক হিসেবে শিক্ষার্থীদের দেখভাল করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষ ম্যামের। তিনি যদি দায়িত্ব অবহেলা করেন, তাহলে কখনো তিনি দক্ষ প্রশাসক হতে পারেননি।

সৈকত আরও বলেন, ইতিমধ্যে মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ঘটে গেছে, যেগুলো আজকে একত্রে প্রকাশিত হলো। যার কারণে তারা আজ প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছে। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। যারা প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে, তারা যেন যথাযথ প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করে, সেই ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে তাদের পক্ষে রায় দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখেন।

অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহারকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর