যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাওসিফ আহমেদ।
এদের মধ্যে মুবাশ্বির ফাহিমকে আগামী ৬ মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (৯ই জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, যৌন হয়রানি করার অভিযোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৫ জুন বিশেষ এক সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ অনুযায়ী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির ফাহিমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারকালীন ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান এবং ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এছাড়া, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের প্রয়াস নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তাওসিফ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা জমাদান ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি সাধিত হয় এরূপ কর্মকাণ্ড না করা সম্পর্কিত মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে তাকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ শে মে মুবাশ্বির ফাহিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক ছাত্রী।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল বিকালে ভুক্তভোগী তার ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিঙ্ক দেয়া ছিল, যেটিতে ক্লিক করে পরিচয় গোপন রেখে মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকে। তবে অভিযুক্ত ফাহিম পরিচয় গোপন না করে ওই স্টোরিতে একটি মেসেজ দেয়। যা শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ নয়, কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক ছিল বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল