রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ নেতার বিরুদ্ধে নগরীর ৩ থানায় জালিয়াতির ৬ মামলা রয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তাকারী প্রাক্তন ছাত্র মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম জানান, তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র নয়। তার পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই তার ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট ভর্তি জালিয়াতির মাধ্যমে পপুলেশন সায়েন্সেস এন্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে ভর্তি হন আহসান হাবীব। ভর্তি সম্পন্ন করার পর আহসানকে অপহরণ করে মুক্তি পণ দাবির অভিযোগ তোলে তার পরিবার। ঘটনার অনুসন্ধানের বেরিয়ে আসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য শেষ হওয়া ভর্তি পরীক্ষায় আহসান প্রক্সি জালিয়াতি চান্স পেয়েছে এবং ভর্তি সম্পন্ন করেছে। এর বিনিময়ে প্রাঙ্গণের সঙ্গে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করেন তিনি। টাকা পরিশোধ না করায় তাকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে তন্ময় ও প্রাঙ্গণ। অপহরণে যুক্ত ছিলেন সনেট ও রাজু। এদের সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট নগরীর মতিহার থানায় দুটি পৃথক মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত সকলকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ খুঁজছে।
এ ব্যাপারে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত