অর্ধযুগ পর সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন। এ সম্মেলন পদপ্রত্যাশীদের নিয়মিত শোডাউন ও প্রচারণা আড্ডায় সরব হয়ে ওঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। নতুন কমিটিতে আলোচনায় এসেছে বেশ কয়েকজন নেতার নাম। তবে নতুন নেতৃত্বে স্বচ্ছ ইমেজ ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষদের কথাই ভাবছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, নেতৃত্বদানে দক্ষ, স্বচ্ছ ইমেজ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন নেতৃত্বের কথা ভাবছি৷ যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সহায়ক হবে।
জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
এদিকে নতুন কমিটির পদের আলোচনায় বেশকিছু নেতার নাম সামনে এসেছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম সক্রিয় ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, মেজবাহুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন ও মামুন শেখ , সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হক রাজু, মেহেদী হাসান মিশু, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব, উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দুর্জয়, সদস্য সাকিবুল ইসলাম বাকি। এ পদপ্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে প্রচারণাসহ নিয়মিত শোডাউন দিচ্ছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিকট দৌড়ঝাঁপ করছেন।
তবে এ পদপ্রত্যাশীদের পড়াশোনা শেষ, কেউ বিভাগ থেকে ড্রপআউট এবং অনেকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতা আলোচনায় রয়েছেন। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি কবিরুজ্জমান রুহুল, সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম, শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু। এ পদপ্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউন ও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিকট দৌড়ঝাঁপ করছেন। তারা সবাই ক্যাম্পাসের নিয়মিত শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে হলে সিট দখল কেন্দ্রিক কিছু বিতর্ক রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা স্বচ্ছ ইমেজের এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি সংগঠন মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ছাত্রলীগ দেশে গৌরব ও ঐতিহ্যের সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। তাই নিয়মিত ছাত্রদের মধ্যে যারা যোগ্য ও সাধারণ শিক্ষার্থী নিকট গ্রহণযোগ্য, হোক সেটা স্থানীয় কিংবা বহিরাগত, তাদেরই নেতৃত্বে আনা উচিত।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি খাদিমুল বাসার জয় বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর গড়া সংগঠনের মান রক্ষা করতে পারবেন এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে শিক্ষার্থীদের একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস উপহার দিতে সহায়ক হবেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্যই গঠনতন্ত্র অনুসারে যোগ্য, ছাত্রত্ব আছে এবং দক্ষ কারো হাতে দায়িত্ব তুলে দিবেন বলে বিশ্বাস করি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল