জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে গণস্বাক্ষর ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে একটি মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘জবি থেকে ভিসি চাই- দিয়ে দাও, দিতে হবে’, ‘ভাড়াটিয়া ভিসি আসলে- গেটে তালা ঝুলবে’, ‘বাইরে থেকে ভিসি- মানি না, মানবো না’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমরা সংখ্যায় অনেকজন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ৭০০ এর মতো শিক্ষক সবাই আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। আমরা সবার কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছি কেউ আমাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেনি।
সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন আরও বলেন, আমাদের আজকে এবং কালকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে। আমরা অনলাইনেও যাতে সবাই স্বাক্ষর দিতে পারে তাই গুগল ফর্ম ছেড়েছি। আপনাদের সকলের অংশগ্রহণে আমরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আরও বৃহৎ আকারে কর্মসূচি পালন করব। আজকে বৃষ্টির কারণে অনেকেই আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেনি। আমরা পরবর্তীতে এই স্বাক্ষরের তালিকা নিয়ে বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে জমা দেব।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, আমরা কারো তাঁবেদারি করতে চাই না। আমরা বাইরে থেকে ভাড়াটিয়া উপাচার্যও চাই না। বাইরে থেকে ভিসি নিয়োগ দিলে একটা সময় বিভিন্ন কাজের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের যেতে হয়। আমাদের এখন অনেক অধ্যাপক আছে এবং এদের মধ্যে প্রায় ৩৬ জনের মতো প্রথম গ্রেডের অধ্যাপক। আমরা চাই তাদের মধ্য থেকেই উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক।
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, “দেখেন গত ৬ জুন থেকে ঢাবি, জবির শিক্ষার্থীরা মিলে একসাথে আন্দোলন গড়ে তোলে, কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই জবি নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯ বছরে একটা ভবন ছাড়া আর কি হয়েছে? আমাদের কেরানিগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আমরা কোনও কাজ দৃশ্যমান দেখতে পাইনি। তাই আমরা জবি থেকেই উপাচার্য চাই।”
বিডি প্রতিদিন/একেএ