ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের চার শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান ও স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে অবস্থানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ওই ৪ শিক্ষককে বয়কট করেন শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষক পুনরায় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে অবস্থান নেওয়ায় অফিস কক্ষে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে আইন বিভাগের অফিস কক্ষে ওই চার শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. রহমতুল্লাহ, অধ্যাপক ড. জামিলা আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক আজহার উদ্দিন ভুইঁয়া এবং অধ্যাপক শাহরিমা তানজিম অর্ণি। তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে সে মর্মে ৬টি কারণ উল্লেখ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও উপ-উপাচার্যের কাছে ছয়টি অভিযোগ উল্লেখ করে স্মারকলিপি জমা দেন।
অভিযোগগুলো হলো- ১. জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। ২. ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ কর্মীদের নিজ বাসায় আশ্রয় দেওয়া। ৩. শিক্ষার্থীদের চোর বলে অপবাদ দেওয়া। ৪. ডিজিএফআই-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন। ৫. রমজানে ছাত্রলীগের হামলাকে অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর দোষ চাপিয়ে ঘটনাটি ‘নিরপেক্ষ’ করার চেষ্টা। ৬. আন্দোলনের সময় নীল দলের মিছিলে অংশ নিয়ে গণহত্যার সমর্থন করা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- উল্লেখিত কারণসহ নানাবিধ অভিযোগে আইন বিভাগের কতিপয় শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা বয়কট করেছে। কিন্তু গনহত্যাকারী ও স্বৈরাচারের এই সকল দোসরদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এইরকম বাস্তবতায় আমরা উপরে উল্লেখিত দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আবেদন জানাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ