অন্যায়ভাবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে মানবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, তদন্তে ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু অন্যায় ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে মানবে না শিক্ষক সমিতি।
তারা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অনশনস্থলে এসে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা সেখানে অপেক্ষায় থাকলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সাথে কোনো কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে হামলার সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।
বুধবার কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজে সহায়তা করে। প্রশাসনের সাথে কাজ করতে গিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ভূত ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হলেও তাতে শিক্ষকদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা নানা রকম বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করে এখানে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
এদিকে, ভিসির এক দফা পদত্যাগের দাবিতে এখনো আন্দোলনে অনড় রয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। এতে প্রচণ্ড গরমে ও প্রায় ৪৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকায় এরইমধ্যে ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে অবস্থান করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।
উল্লেখ্য, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর থেকেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত