বৃষ্টির কারণে এবছর সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের।
সকাল সাড়ে ৮টায় শাহী ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়ের কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তারা চলে যান হযরত শাহজালাল রহ. দরগাহ মসজিদে। সকাল ৯টায় সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর আগে জানিয়েছিলেন, সিলেটের শাহী ঈদগাহে সবচেয়ে বেশি ঈদের নামাজ আদায়কারীদের মধ্যে একজন তিনি। ছোটবেলা থেকে তিনি শাহী ঈদগাহেই ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।
মন্ত্রী থাকাবস্থায়ও তিনি শাহী ঈদগাহেই ঈদের নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে তিনি শাহী ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারেননি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিলেটের শাহী ঈদগাহে প্রধান জামাতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সিলেটের লাখো মুসল্লি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় জামাতে অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈদগাহে ঈদের নামাজে জমায়েত মানুষের সারি পার্শ্ববর্তী রাস্তাগুলোতেও বিস্তৃত ছিল।
শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামাল উদ্দিন নামাজের আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
ঈদের নামাজকে ঘিরে শাহী ঈদগাহ এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে র্যাব ও পুলিশ। শাহী ঈদগাহে প্রবেশের দক্ষিণ ও উত্তর গেটে মুসল্লিদের তল্লাশি করে ভেতরে ঢুকতে দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসময় জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদ ও হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার ও আলিয়া মাদরাসা মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম