টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করেছে জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায়। পনিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন জেলার বন্যা কবলিত এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
সরকারি হিসেবে বন্যায় জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শনিবার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে পানি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে বন্যার কারণে জেলায় ২২৩টি প্রাথমিক ও প্রায় ৫০ টি মাধ্যমিক স্কুলে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে অনেক এলাকা। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের কয়েটি স্থান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা করেছেন সুনামগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও বিরোধী দলের হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। বন্যার্থ মানুষের পুর্নবাসনে সব ধরনের সহযোগিত প্রদান করা হবে বলে সভায় জানিয়েছেন তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ২৪৮ মেট্রিকট চাল, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার ৭৬৫ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সেইসাথে আরও ৫০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং ৫ হাজার ২৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
বন্যায় জেলায় মোট ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। বন্যায় ১২৬৩ হেক্টর আউশ এবং ১২৫ হেক্টর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ২ শ টাকার মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন