১৫ জুলাই, ২০১৯ ১৮:২২

বিশ্বনাথে বাড়ছে পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে বাড়ছে পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে পানি। বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বাসিয়া ও খাজাঞ্চি নদীর পানি। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, আমন ধানের বীজতলা ও মাছের ঘের।

সরেজমিন উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী এ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। প্রত্যেকের বাড়ির আঙিনা ভর্তি পানি। ডুবে গেছে পথ-ঘাট, স্কুলের মাঠ, ফসলি জমি ও মাছের খামার। ব্যাহত হচ্ছে পানিবন্দি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্র। স্কুলে-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। 

পানিবন্দি গ্রামগুলো হলো, লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, কাজীবাড়ি, রাজাপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, সোনাপুর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর, চরগাঁও, তেঘরী। এছাড়াও দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে বন্যার পানিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, সোমবার পর্যন্ত এলাকার চাষকৃত ৫০ হেক্টর আউশ ধানের জমি ও ২০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা পানির নিচে চলে গেছে। দ্রুত পানি না কমলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।

শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলার মির্জারগাঁও, আকিলপুর, বাওনপুর, হাজারীগাঁও, শাখারিকোনা ও ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তবে এখনও কোনো
বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সার্বণিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হচ্ছে। বন্যা দেখা দিলে মানুষকে সাহায্য করার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এলাকার বন্যার্তদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণ আছে। দুই-একদিনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর