করোনাভাইরাসের কারনে সিলেটসহ সারা দেশে নামাজের প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে ৫ জন মুসল্লি ও জুম্মার নামাজে ১০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে সিলেট শহরের মসজিদে এটি পালন করতে দেখা যাচ্ছে।
যার কারণে বৃহস্পতিবার শবে বরাতের রাতে সিলেটের মসজিদে মসজিদে ছিল না কোন জিকির-আযকার। নামাজেও মুসল্লি ছিলেন একেবারে কম। নগরীর দরগাহ মাজারের গেট বুধবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরের পাড়ার মসজিদে ছিল না কোন জিকির, বিশেষ দোয়া কিংবা ওয়াজ মাহফিল।
কিন্তু সিলেটের মানুষ বসে নেই। এশার নামাজ পরে শরের প্রায় প্রতিটি মসজিদ থেকে ইমামগণ দোয়া করেন। বাসায় বসে এই দোয়াতে শরীক হয়েছেন পুরুষলোকের পাশাপাশি বাসার মহিলারাও। এছাড়া বাসায় বসে ইবাদত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অনেকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বাসায় বসে দোয়া, দুরুদ পাঠ, নফল নামাজ সহ বিভিন্ন ধরণের ইবাদত বন্দেগী করছেন। এবারে মানুষের কান্না ছিল না মসজিদে। তবে এ কান্না ফুঁপিয়ে কেঁদেছে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বাসায় বসে।
করোনা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে মানুষের কান্না এবার ছিল একটু বাড়তি। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের অনেক মানুষ বসবাস করেন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে। এসব প্রবাসীদের জন্য বাড়তি দোয়া ছিল এবারের শবে বরাতে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ