খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, এ জাতির অভ্যুদয় ছিল বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে জাতিকে বৈষম্য ও বেইনসাফির প্রতিবাদে রক্ত দিতে হয়েছে। প্রতিবারই এ জাতির বঞ্চনার ইতিহাস প্রলম্বিত হয়েছে। ধোঁকাবাজ নেতারা আমাদেরকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাদের মনগড়া মতবাদ আর তন্ত্রমন্ত্রের ধোঁয়া তুলে শোষণ করেছে। নিজেদের আখের গোছাতে যা করণীয়, সবকিছুই করেছে, তবুও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছুই করেনি। খিলাফতে রাশিদার আদর্শেই কেবল ফ্যাসিবাদ নির্মূল সম্ভব।
শনিবার বিকালে খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, যখন যারাই ক্ষমতায় এসেছে, নিজেদের স্বার্থ, দলীয় এজেন্ডা আর বিদেশিদের ফরমায়েশ বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিল। কারো ফুরসত মেলেনি দেশ-জনতার স্বার্থের কথা ভাবার, সম্ভাবনাময় এ দেশটিকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার। ফলে ৫৩ বছর পরও জাতিকে অধিকারের জন্য রক্ত দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারকে হটাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকেও রাজপথে রক্ত দিতে হয়েছে। সময় এসেছে, এ দেশের মানুষের প্রকৃত শান্তি, মুক্তি ও প্রগতির বন্দোবস্ত করার। সকল প্রকার বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করার এখন মোক্ষম সুযোগ। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আর এজন্য একমাত্র পথ হলো খিলাফতে রাশিদা আদর্শ অনুসরণে রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো।
সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল শায়খ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল বের হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল