খালাতো ভাইয়ের আইফোন চুরির পর বিক্রি করে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করার পরিকল্পনা করে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্র। পরিকল্পনা মাফিক বন্ধুকে বাসায় নিয়ে এসে রাত্রিযাপনের পর ভোরে ফোন চুরি করে নিয়ে যায় তারা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে খালাতো ভাইয়ের ঘুম ভেঙে গেলে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। পরে ছেলের মাকে হত্যার পর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকায় এসপির বাংলো সংলগ্ন একটি বাসায় মা-ছেলেকে খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান।
পুলিশ সুপার বলেন, পার্টি করার জন্য টাকা জোগাড় করতে খালার বাসা থেকে আইফোন, টাকাপয়সা ও সোনাদানা চুরির পরিকল্পনা করে সপ্তম পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থী। হাছননগর এলাকায় খালার সাথে একই বাসায় পাশাপাশি ভাড়া থাকতো ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
তিনি জানান, পরিকল্পনামাফিক সোমবার নিজ বাসায় সহযোগী বন্ধুকে নিয়ে রাত্রিযাপন করে ওই শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার ভোরে পাশের ইউনিটে থাকা খালার বাসায় চুরি করতে যায় তারা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে খালাতো ভাই মিনহাজের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয় মিহাজের। ওই শিক্ষার্থী খালাতো ভাইকে চেপে ধরে রাখে এবং তার বন্ধু রান্নাঘর থেকে বটি দা এনে মিনহাজকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মিনহাজের মা ফরিদা বেগমের ঘুম ভেঙে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, ওই শিক্ষার্থীর দাবি তার বন্ধু তার খালা ও খালাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার পর সিলেট থেকে বিমানযোগে তারা রাজধানী ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে সাভারে আত্মগোপন করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে সাভার থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে আটক করে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্তা কর্মকর্তা নাজমুল হক, গোয়ান্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়া।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ