চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের নিউমুরিং এলাকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গ্রাহক মো. আবু বকর। পিডিবির হালিশহরের নিউমুরিং অফিসের মিটার রিডার ওমর সাহেবকে তিনি বললেন ‘আমার মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিলের ৩৪৫ ইউনিটের গরমিল। এক বছর ধরে এ সমস্যা হচ্ছে। এর সমাধান কি? জবাবে ওমর সাহেব বললেন, ‘চার তলা থেকে লাফ দেন, সমাধান হয়ে যাবে।’
বুধবার সকালে পিডিবির গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদকে এসব অভিযোগ করেন পিডিবির গ্রাহক মো. আবু বকর। গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. আকতার হোসেন, পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন প্রমুখ।
গণশুনানিতে পিডিবির ২৬ জন গ্রাহক দুদক চেয়ারম্যানের সামনে সরাসরি অভিযোগ করেন। কেবল আবু বকর নন, এভাবে নগরের ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ অভিযোগ করেন। আগ্রাবাদের আবুল বাশারের মিটার রিডিংয়ের সাথে বিদ্যুৎ বিলের ৫ হাজার ইউনিটের গরমিল, কালুরঘাটের সিরাজুল ইসলামের মিটারের সঙ্গে হাজারের বেশি বিলের গরমিলের অভিযোগ শুনানিতে উত্থাপিত হয়।
এ সময় দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিদ্যুতের বিলের গরমিলের বিষয়টি আসলেই চোখে পড়ার মতো। এটি মানুষকে বেশি ভোগান্তিতে ফেলে। এসব অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। বিদ্যুৎ অফিস থেকে ওমরের মতো স্টাফকে সরিয়ে নিতে হবে। যেই স্টাফ গ্রাহকের সমাধান না দিয়ে ৪ তলা থেকে লাফ দিতে বলেন, তিনি কি ধরনের স্টাফ। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন দুদক কমিশনার।
বিডিপ্রতিদিন/ ই জাহান