১৫ জুন, ২০১৯ ২০:১৫

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী

মাত্র পৌনে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরী। রাস্তা-ঘাটের পাশাপাশি দোকান ও বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। এমনকী নগরীর লালখানবাজার-মুরাদপুরের আখতারুজ্জামন ফ্লাইওভারে সৃষ্টি হয় জলজট। নালা আটকে থাকায় নগরীর অনেক উঁচু এলাকাও তলিয়ে যায় পানির নিচে। ফলে জলবদ্ধতাতায় চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। শনিবার দুপুর পৌনে দুইটা থেকে শুরু হয় ভারি বর্ষণ। যা স্থায়ী হয় মাত্র পৌনে এক ঘণ্টা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, দুপুর পৌনে ২টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ঘণ্টায় বাতাসের বেগ ছিল ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। এ সময় বৃষ্টিপাতও হয়। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নগরীতে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস।

তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সে সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। মাঝারি আকারে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।’

আষাঢ়ের প্রথম দিন সকাল থেকে চট্টগ্রামের আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। পৌনে দুইটা থেকে শুরু হয় বাতাসসহ বৃষ্টিপাত। মাত্র পৌনে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু পানি থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। নগরীর অন্যতম প্রধান সড়ক সিডিএ অ্যাভিনিউর মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, জিইসি, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরীর ওয়ারল্যাস গেইট এলাকায়ও নালা উপচে হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের উপরেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পানির নিচে তলিয়ে যায় নগরীর প্রবর্তক মোড়, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, পশ্চিম বাকলিয়া, জামালখান, বাগমনিরাম, আন্দরকিল্লা, শুলকবহর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। ভারি বৃষ্টির কারণে নগরের অধিকাংশ রুটে গণপরিবহন শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন সংকটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এরই মধ্যে বৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে রিকশাচালকরা কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেন রিকশা ও সিএনজি চালকরা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে নগরীর কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এবার সিটি কর্পোরেশন শুধু ছোট ছোট নালা সংস্কার ও ময়লা অপসারণ করেছে। বড় নালাগুলো জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় পরিষ্কার করা হবে। জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরীর এ সমস্যা সমাধান হবে।

বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুন, ২০১৯/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর