টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। মঙ্গলবারও নগরের অনেক এলাকা ছিল পানির নিচে। পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ওঠে যায় পিচ। ফলে জলাবদ্ধতার সঙ্গে চরম দুর্ভোগ ও ভেগান্তি সঙ্গি হয়েছে নগরবাসীর। অন্যদিকে, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহনও চলেছে ধীরগতিতে। এ কারণে নগরের অনেক সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। সংকট ছিল গণপরিবহনের।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টানা ভারি বর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর কখনো থেমে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ প্রদীপ কান্তি ধর বলেন, ‘মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হতে পারে। তাছাড়া ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার থেকে টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। এ কারণে বাসা-বাড়ি, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে। পানি প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
হালিশহর নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মীর শাফায়াত বলেন, ‘বাসায় পানি ঢুকার কারণে গত গত সোমবার থেকে আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। নিচ তলায় বাসা হওয়ার কারণে আমাদের এ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।’
জানা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে আজও নগরীর প্রায় সব নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিতে ভাসছে চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ আশাপাশের কাঁচাবাজারগুলো। পানি ঢুকেছে নগরের বিভিন্ন মার্কেটের নিচতলা, বিভিন্ন নিচু এলাকার কলোনি ও ভবনের নিচতলার বাসাগুলোতে। তাছাড়া নগরের হালিশহরের নয়াবাজার, বড়পুল, এক্সেস রোড, নিমতলা থেকে বড়পুল মোড়, ওয়াসা, মেহেদিবাগ, প্রবর্তক, অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকা, ২ নম্বর গেইট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, পাঁচলাইশ, শুলকবহর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়ার কেবি আমান আলী রোড, কালামিয়া বাজার, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ কোরবাণিগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাকলিয়াসহ নগরের বড় এলাকাজুড়ে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি, কোথাও কাদাযুক্ত পানিতে ভাসছে নগরের সড়ক-উপসড়ক এবং অলিগলি।
এদিকে, ভারী বর্ষণের পর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে যানজট তৈরি হয়। নষ্ট হয় গাড়ির ইঞ্জিন, ভেঙ্গে পড়ে সড়কের শৃঙ্খলা। নগরের চকবাজার, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, ওয়াসা, কাস্টম মোড়, ইপিজেট মোড়, কাঠগগড় থেকে বিমানবন্দর সড়কে যানজট দীর্ঘ হয়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, সিএমপি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার মানুষ কাজ করছেন।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার