চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বর্তমানে মোট শয্যা সংখ্যা এক হাজার ৩৪৮টি। কিন্তু প্রতিনিয়তই রোগী ভর্তি থাকে দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার পর্যন্ত। প্রায় প্রতিটি বিভাগেই ফ্লোরে, মেঝেতে, বারান্দা ও সিড়িতেও রোগী থাকতে হয়। এমনটি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদেরও রাখতে হয় ফ্লোরে। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বৃহত্তম এ সেবা প্রতিষ্ঠানকে রোগী নিয়ে চরমভাবে হিমসিম খেতে হয়। রোগীদেরও পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে।
স্বাস্থ্যসেবার এমন ত্রাহি অবস্থায় এ হাসপাতালে নতুন করে ৫০০ শয্যা যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ ডিপিপি (ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) তৈরির জন্য চিঠি দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্দিষ্ট ছয়টি তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, হাসপাতাল এলাকার কোন অংশে সম্প্রসারণের কাজ হবে তা ম্যাপসহ স্থান নির্ধারণ, বিভাগ ভিত্তিক চিকিৎসা উপকরণের তালিকা, একক মূল্য ও সংখ্যা, বিভাগ ভিত্তিক ফার্নিচারের মূল্য তালিকা, পূর্ণাঙ্গ জনবল, বিভাগ ভিত্তিক শয্যা বিন্যাস এবং প্রয়োজন ভিত্তিক স্টাফ কোয়ার্টার, ডরমেটরি বা অন্য স্থাপনার বর্ণনা। ‘
চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘চিঠিতে চমেক হাসপাতালের নতুন ৫০০ শয্যার একটি পূর্ণাঙ্গ ডিপিপি চেয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা চাহিত সব তথ্য সংগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাব। কারণ চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবায় নতুন শয্যা যুক্ত হওয়ার খুবই জরুরি।’
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৭ সালে ১৫ একর জায়গায় ১২০টি শয্যা নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটি এক হাজার ৩৪৮টি শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল আছে ৫০০ শয্যার। ফলে প্রতিনিয়তই জনবল সংকট লেগেই থাকে। তাছাড়া বর্তমানে অন্ত ও বহির্বিভাগ মিলে ৪২টি ওয়ার্ড আছে।
জানা যায়, ‘বর্তমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণের মাধ্যমে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় দেশের পুরাতন মোট ৫টি হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধি করা হবে। এগুলো হলো চমেক হাসপাতাল, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার