চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণ করা নগরের চারটি ফ্লাইওভার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করা হবে। গত বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অবশেষে অভিভাবক পেল চট্টগ্রামের চারটি ফ্লাইওভার। এর আগে দীর্ঘ দিন ধরে ফ্লাইওভারগুলো অভিভাবকহীন ছিল। ফলে এগুলো বিদ্যুৎ না থাকা, পরিস্কার না করা এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা ঝামেলা তৈরি হয়।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, বহদ্দারহাট এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ও কদমতলী ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিডিএ চসিককে হস্তান্তর করবে। চারটি ফ্লাইওভার নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৯২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘সিডিএ নির্মিত চারটি ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় দেখভাল করতে চসিককে হস্তান্তর করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। সিডিএ ফ্লাইওভার নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণের সরঞ্জাম না থাকায় সেগুলো চসিককে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
জানা যায়, নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার পর্যন্ত এমএ মান্নান ফ্লাইওভার ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করা হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১৪৭ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত চার লেনের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের মার্চে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬৯৮ কোটি টাকা। বটতলী স্টেশন থেকে ডিটি রোডের ধনিয়ালাপাড়া পর্যন্ত কদমতলী ফ্লাইওভার ২০১২ সালের জুলাইয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। ব্যয় হয় ২৪ কোটি টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার