মনোনয়ন না পেলেও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুমোদন নিলেন প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার 'চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক' সম্প্রসারণ প্রকল্প। মেয়রের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান 'বিশেষ ছাড়' দেয়ায় শুধু ভূমি অধিগ্রহণ খাতেই সাশ্রয় হচ্ছে ১২'শ কোটি টাকা। ২৫৮ গন্ডা ভূমি চসিককে দিচ্ছে চবক।
দুইলেন বিশিষ্ট প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের এই প্রকল্প রবিবার বিকালে সাড়ে তিনটায় চসিক মেয়রের নিজস্ব উদ্যোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভ করে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন দায়িত্বশীলরা।
করোনা আতংকে চসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের সভায় যোগ দিতে আগ্রহী ছিলেন না। তবুও মেয়রের নির্দেশনায় সভাটিতে যোগ দেন।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়রের অনুরোধে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় বা ক্ষতিপূরণ নেবে না চট্টগ্রাম বন্দর।
চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক জানান, বিমানবন্দর রোডের এই সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে বেশকটি সড়ক উন্নয়ন সংযুক্ত। এলাকাগুলোতে ছোটখাটো রোড ১২টি ব্রিজ, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ২৮টি গোলচত্বরের কাজ সংযুক্ত।
বিমানবন্দর থেকে রুবি সিমেন্ট পর্যন্ত ৬০ ফুটের ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই রোডের তিনহাজার কোটি টাকার প্রাক্কলন জমা দেয়া হলেও মন্ত্রণালয় কিছটা কাঁটসাট করে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রাক্কলন অনুমোদন দেয়।
আগেই সম্ভাব্যতা নিরূপণ, কনসালটেন্ট নিয়োগসহ সকল কাজ সম্পন্ন করে চসিক। অনুমোদন হওয়া এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করতে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে? এমন প্রশ্নে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানান, ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ চসিকের কোনো টাকা খরচ হবে না। চসিক মেয়রের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) বিনা খরচে ভূমি দেবেন।
এদিকে, জনস্বার্থে ভূমিবাবদ ক্ষতিপূরণ না নেয়ায় সিদ্ধান্তে চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজের সহযোগিতার জন্য নগরবাসির পক্ষে থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিরের সভাপতিত্বে রবিবার অনুষ্ঠিত প্রকল্প পর্যালোচনা সভাটি বিকালে তিনটায় শুরু হয়। এতে অংশ নেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন