করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল করছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও কনটেইনার ছাড়াও ১ মে থেকে চালানো হচ্ছে পার্সেল ট্রেন। করোনাভাইরাসের কারণে রমজানের ঈদের আগেই এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে না। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল না করলেও চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই যে কোন সময় ট্রেন চালানো সম্ভব বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এসিস্ট্যান্ট চিফ অপারেটিং সুপারিট্যান্ডেন্ট (এসিওপিএস) সাহেব উদ্দিন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন রুটে পার্সেল ট্রেনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন চলাচল করছে। পার্সেল ট্রেনটি চট্টগ্রাম-ভৈরব-ময়মনসিংহ-জামালপুর-সরিষাবাড়ী রুটে চলাচল শুরু করেছে। চট্টগ্রাম থেকে বিকালে ও সরিষাবাড়ী থেকে সকালে গন্তব্যের উদ্দেশে পণ্য পরিবহন করবে সার্ভিসটি। ঢাকা থেকে সংযোগ ট্রেন রয়েছে। সাপ্তাহিক বন্ধ না থাকায় ট্রেনটি প্রতিদিন উভয় মুখে চলাচল করছে। পার্সেল ট্রেনটিতে ৬টি গাড়ি আছে। এরমধ্যে একটিতে গার্ড, অন্য পাঁচটি মালামাল বহন করছে।
পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রীক প্রকৌশলী (সিএমই) ফকির মো. মহিউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৪ মার্চ সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে জরুরী প্রয়োজনে পার্সেল ট্রেনগুলো। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা রেল মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পেলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন, ওয়াগন, যাত্রী কোচ, খাবার গাড়ি ও প্রয়োজনীয় লোকবলসহ নানাবিধ প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমান এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে না। হয়তো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল হয়তো এবার রমজানের ঈদের পরেই চলে যাবে। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে রেল কর্মীরা এখনও মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক ও বর্তমান একাধিক রেলওয়ে কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগেই কোনভাবে সম্ভব নয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের। দেশের যে পরিস্থিতি চলছে ট্রেন চলাচল শুরু করলেই ধারণক্ষমতার বাইরে যাত্রী উঠে যাবে। শুরু হবে মারামারি-গোন্ডগোল। নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হবে। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব কোনভাবেই বজায় রাখা যাবে না। সুতরাং ট্রেন চলাচল করলে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তবে প্রস্তুতি থাকা ভালো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঈদের পরপরই চালু করবে পারবেন বলে জানান এসব কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার