চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নানা মাত্রিক ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। আক্রান্তের পর স্বজনদের পরীক্ষা করার প্রয়োজন থাকলেও তা অনেকাংশে করা সম্ভব হচ্ছে না কিংবা বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া করোনার উপসর্গ দেখা গেলেও নানা অজুহাতে পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। একই সঙ্গে আছে জ্বর, শ্বাস কষ্টসহ অন্যান্য সমস্যা আছে এমন রোগীদের পরিবহন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, চট্টগ্রামে এক জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পরে চট্টগ্রামের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক দপ্তরে যোগাযোগ করে তিনদিন পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে, করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় অনেকেই টেস্ট করাতে চান। কিন্তু এমন রোগীদের কোনো যানবাহন বহন করতে চায় না। ফলে তারাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীর সেবক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম নেসার বলেন, ‘করোনার নানা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের দেখে কোনো গাড়ি বহন করতে চায় না। ফলে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। তাই সন্দেহভাজন রোগীদের বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অবশ্যই বিশেষ কোনো বাহন দরকার। সন্দেহজনক রোগীটি যদি করোনা পজেটিভ আসে তাহলে বহনকারী গাড়ি ব্যাবহারে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই উপসর্গ আছে এমন রোগীদের বহনে নির্দিষ্ট গাড়ি বা এম্বুলেন্স থাকা জরুরি।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জ্বর তিনদিন পর্যন্ত না থাকলে নমুনা পরীক্ষার দরকার নেই। তিন দিনের বেশি থাকলে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে পরীক্ষা করানোর কথা বলা আছে। তবে আমাদের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর জনবল কম হওয়ায় যথা সময়ে তা সংগ্রহ করা হয় না। তাছাড়া আমাদের প্রয়োজনীয় পরিবহন সুবিধাও নেই। ফলে এটিও একটি বিড়ম্বনা।’
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০০ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। সর্বশেষ গত শনিবার একদিনেই একজন সাংবাদিক, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ছয়জন পুলিশ সদস্যসহ ৭৫ জন আক্রান্ত হন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার