ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নানা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে সৈকত সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় করা হচ্ছে মাইকিং। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এটি আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ উপকূলে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় বৈঠক করা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সতর্ক সংকেত বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারেন। পাশাপাশি উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।’
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে। তবে এ বিপদ সংকেত বাড়তে পারে। তাই নৌযানসহ বড় বড় জাহাজগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত লোকাল জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উজানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। একইভাবে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোর ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল