সরকারি বরাদ্দের ওএমএসের চাল বিক্রির সময় ৬৭ বস্তা এবং গুদামে অভিযান চালিয়ে আরো ৩০ বস্তাসহ ৯৭ বস্তা জব্দ করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এসব চাল জব্দ করা হয়।
উপজেলার ফতেপুরের আকতার সওদাগরের মুদির দোকানে ওমমএস’র এই চাল কম দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় জড়িত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ওএমএস’র চাল কেন বিক্রি করছেন আকতার সওদাগরের কাছে জানতে চাইলে তার সোজা উত্তর ‘আমি সরকারি চাল কী না জানিনা তবে ৪০ টাকায় কেনা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
অভিযানে আকতার সওদাগরের দোকান থেকে উদ্ধার হল ৭ বস্তা সরকারি বরাদ্দের চাল। এরপর তাকে পাইকারি বিক্রেতার খোঁজে পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডের মেসার্স লোকমানিয়া স্টোরের গোডাউনে। গোডাউনে গিয়ে পাওয়া গেল আরো ৬০ বস্তা। গোডাউনের মালিক ও ডিলার ইউসুফকে ফোন করে জানা গেল তিনি চালগুলো খোলা বাজারে বিক্রির জন্য রেখেছেন। সরকারি বরাদ্দের ওএমএসের চাল বিভিন্ন মুদি দোকানে পাইকারি বিক্রি কেন করছেন প্রশ্নের কোন সতোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে শনিবার সকালে সরকারি সিল মারা ওএমএস’র বস্তা বদল করে অন্য বস্তায় চাল বিক্রির সময় একই ডিলারের আরো ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এই ৩০ বস্তা উদ্ধার করা হয় উপজেলার মেখল রোডের গাউছিয়া স্টোর থেকে। সরকারি বরাদ্দের চাল বিক্রি করার অপরাধে ডিলার মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামলা করেছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল