চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর শয্যা সংকট নিত্য ঘটনা। এমন অবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রস্তুত করা হচ্ছে নয়টি আইসোলেশন সেন্টার। সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকটের এই সময়ে এ সব কেন্দ্র সহায়ক হচ্ছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীরা এখানে বিনামূল্যে সেবা পাবেন। সর্বশেষ চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হন ৬ হাজার ২৮৮ জন, মারা যান ১৪১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন ৬৪০জন।
জানা যায়, চট্টগ্রামে ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী মিলে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৩২০টি শয্যার নয়টি আইসোলেশন সেন্টার। এসব সেন্টারে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। রাখা হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অ্যাম্বুলেন্স ও সুরক্ষা সামগ্রী। তবে অনেক আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসক-নার্স সংকট আছে বলে জানা যায়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ। এমন অবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রস্তুত করা আইসোলেশন সেন্টারগুলো করোনা চিকিৎসায় বড় সহায়ক হচ্ছে। সংকটাপন্ন ও দৃশ্যমান উপসর্গ না থাকা রোগীদের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এ ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই।’
চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে গত রবিাবর থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। এখানে চিকিৎসক-নার্সসহ ৬০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। ব্যবস্থা করা হবে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার। এখানে অতি সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া সব রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হবে।’
হালিশহরে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘এ সেন্টারে রোগী ভর্তি চলছে। অক্সিজেন সাপোর্টসহ প্রয়োজনীয় সব সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি সহায়তায় চলছে রেলওয়ে হাসপাতালে ১০০ শয্যা এবং হলি ক্রিসেন্টে ৬০ চলছে শয্যার দুটি আইসোলেশন সেন্টার। গত দুইমাস আগেই ফৌজদার হাট এলাকায় তৈরি করা হয় ৬০ শয্যার চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরের হালিশহরস্থ সিটি কনভেনশন হলে প্রস্তুত করা হয় ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, হালিশহরে শতাধিক তরুণ-যুবকের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার এবং বন্দর এলাকায় কাটগড় মোড়ের পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫০ শয্যার ‘বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা করোনা হাসপাতাল’। এসব আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, প্রস্তুতি চলছে নগরের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ শয্যাকে তৈরি করা হচ্ছে করোনা চিকিৎসায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার