করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেসিন নির্মাণ, সাবান ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। চট্টগ্রামেই সরকারি এ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৫৭টি বেসিন বসানো হয়েছে। নগরীর হাসপাতাল ও প্রতিটি উপজেলায় তিনটি করে এসবস বেসিন বসানো হয়।
এসব বেসিন চালু আছে কিনা তদারকি করতে দুই সদস্যের টিমও গঠন করা হয়েছে। কোথাও কোনও বেসিন নষ্টের খবর পেলেই টিমের সদস্যরা গিয়ে তাৎক্ষণিক তা ঠিক করে দিচ্ছেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পটিয়া ছাড়া সব উপজেলায় বেসিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ৫৭টি বেসিন বসানোর ক্ষেত্রে আমরা হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকেই গুরুত্ব দিয়েছি। যেখানে প্রবেশের আগেই মানুষ যাতে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে পারে। একইভাবে আমরা সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বেসিনগুলো একজন ব্যবহারের পর আরেকজন ব্যবহার করবে সেটা মাথায় রাখলেই বেশিদিন সুরক্ষিত থাকবে। এরপরেও বেসিন রক্ষণাবেক্ষণে দুইজনের টিম করেছি। তারা যেখানেই বেসিনের ছোটখাট সমস্যার খবর পাচ্ছে সেখানে সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। বেসিন ব্যবহারে সমস্যা হলে আমাদের অবহিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) ডা. সামশুল আলম মো. ইমতিয়াজ বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। যত বেশি হাত ধোয়া হবে তত শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। অথচ হাত ধোয়ার জন্য হাসপাতালে বেসিন বসানো হলেও সেগুলোতে মানুষের আগ্রহ নেই। আবার কোনও কোনও স্থানে বেসিন থাকলেও সাবান না থাকায় তা ব্যবহার করতে পারছে না মানুষ। হাসপাতালে বসানো বেসিনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরী। প্রকৃতপক্ষে আমাদের মধ্যে এখনও সচেতনতার বড়ই অভাব রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠে নামে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি উপজেলায় তিনটি করে বেসিন নির্মাণ করা হয়। পটিয়ায় জায়গার অভাবে এখনো বেসিন নির্মাণ করা হয়নি। বাকিসব উপজেলায় বেসিন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
আরএফটি পদ্ধতিতে গত মার্চে বেসিন নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বেঙ্গল কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব বেসিন নির্মাণ করেন। শহর এলাকায় বসানো বেসিনগুলোর সাথে ওয়াসার পাইপলাইনের সংযোগ ঘটানো হয়েছে।
বেসিন বসানো ছাড়াও ইউনিসেফের সহায়তায় প্রতিটি উপজেলায় ২৫০টি এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১২০০ টি সাবান বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কয়েকটি উপজেলায় ১৫০টি কওে ১২০০ হ্যান্ড ওয়াশিং বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর