২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৪৫

চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড মওকুফ চান প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড মওকুফ চান প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তবে এসব টাকা মওকুফে সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চসিকের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। 

সোমবার তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড মওকুফে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, অর্থমন্ত্রী আ.ফ.ম মোস্তফা কামাল এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বরাবরে পৃথক চাহিদাপত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক সুবিবেচনা প্রত্যাশা করেছেন।

তিনি বলেন, চসিক একটি নাগরিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। একজন নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল ধরণের নাগরিক সেবা চসিক নিশ্চিত করে। দুষণ ও যানজটমুক্ত পরিচ্ছন্ন আধুনিক উন্নত নগর গঠন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতে চসিক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ সকল প্রতিজ্ঞা পূরণে চসিক ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

তিনি বলেন, চসিক আর্থিক অসক্ষমতার কারণে নিজস্ব রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। মহাসড়ক, সড়ক, নর্দমা, রাস্তা, মেরামত-সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা, মশকনিধন এবং সর্বত্র আলোকায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল কর্মযজ্ঞ। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য প্রাপ্ত অর্থ খুবই অপ্রতুল। আর্থিক দৈন্যতার কারণে নাগরিক সেবার মান নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। চসিকের নিজস্ব আয়ের স্বল্পতার কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে ২০Ñ৩০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। এছাড়াও এক সময় টেক্স বা নগর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত আয় ছিল অন্যতম প্রধান রাজস্ব। কিন্তু আশির দশকে সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় প্রসারের লক্ষ্যে চসিক এলাকায় আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। বর্তমানে চসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকেল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া টাকাসহ নিজস্ব তহবিলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বকেয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আনুতোষিক বাবদ প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা’র বিশাল অর্থ ঘাটতির বোঝা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া টাকা মওকুফের ব্যবস্থা করা হলে নগরবাসীকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা এবং সরকারের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।  

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর