ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়েছে জোয়ারের পানি, বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা। ফলে জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রাম নগরের অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। শুক্রবার নগরের অনেক এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি বাড়ছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার শুরু হয় সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে, ভাটা শুরু হয় ২টা ৪৭ মিনিটে। দ্বিতীয় জোয়ার শুরু হয় রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে। জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৯৮ মিটার। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।
জানা যায়, দিনভর ছিল প্রখর রোদ, সঙ্গে ছিল গরমের তীব্রতা। কিন্তু আবহাওয়ার এমন সময়েও নগরের অনেক রাজপথ এবং অলিগলিতে হাঁটুপানি। পানি মাড়িয়েই চলতে হচ্ছে বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশাসহ যানবাহন। নগরের চাক্তাই খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলা, জিইসি, দুই নম্বর গেট, বায়েজিদ, সিডিএ অ্যাভেনিউ, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ, হালিশহর আবাসিক এলাকা, চান্দগাঁও আবাসিক, বাকলিয়াসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, শুক্রবার কর্ণফুলী নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৯৮ মিটার। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নিঁচু এলাকায় জোয়ারের ওঠেছে। তবে তা কিছু সময় পর নেমে যায়। কারণ এরই মধ্যে চসিক নগরের নালা-নর্দমা পরিস্কার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার