চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। দোকানপাট বন্ধের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই আন্তঃজেলা সড়কে চলছে যানবাহন। তবে লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
আজ বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খবর নিয়ে জানা যায়, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে নেই কোনো সচেতনতা। খোলা রয়েছে দোকানপাট, চলছে ক্রয়বিক্রয়। সড়কে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল। ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ যাতায়াত করছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং চলছে। সর্বত্র নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা তদারকি করতে মাঠে আছে উপজেলা প্রশাসন।কিন্তু এ উপজেলার মধ্য দিয়ে আন্তঃজেলা সড়ক থাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে প্রতিটি যানবাহনের দরজা বন্ধ করে চলাচল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া লকডাউন ঘোষিত এলাকায় যাত্রী উঠা-নামা না করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২২ জুন করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির সভায় ফটিকছড়িকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সিদ্ধান্ত মতে, কাঁচাবাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় বন্ধ থাকবে।
ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। সকল ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর