বেসরকারি আইসিডিতে বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্দরে বিপজ্জনক, তেজষ্ক্রিয় ও রাসায়নিক পণ্য নিরাপদে আমদানি-রফতানির সুবিধার্থে স্টেট অব আর্ট ক্যামিকেল শেড গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।
আজ রবিবার শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৩৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রচার মাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।
বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বন্দরের সক্ষমতা ৩-৪ গুণ বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ২৮৩ দশমিক ২৭ একর জমি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বন্দর নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে সহসা দরপত্র আহ্বান করা হবে।
মাতারবাড়ী টার্মিনাল হলে ১৬ মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বে টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন ৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানার জমির দলিল ২০২১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বন্দরকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (অর্থ) কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রগমান, সব বিভাগীয় প্রধান ও সিবিএ নেতারা।
বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বছরে সাড়ে ৪ লাখ টিইইউ’স কনটেইার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পিসিটি’র ৬০০ মিটার জেটিতে এক সাথে ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনার জাহাজ ও ২২০ মিটার লম্বা ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। আগামী জুলাইতে পিসিটির কার্যক্রম শুরু হবে আশা করি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর