কদিন পরই শুরু হবে নতুন বছর। সারাদেশে বছরের প্রথম দিন ঘটা করেই উদযাপন করা হয় বই উৎসব। বই উৎসবের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্টদের হাতে এসেছে চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ বই। ফলে নতুন বছরের শুরুতে বই উৎসব নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। তবে ১ জানুয়ারি নাগাদ চাহিদা অনুযায়ী সব বই এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম জানান, এ বছর ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। গত সপ্তাহে আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ বই এসেছে। আমিও এখন একটা মিটিংয়ে আছি, যার কারণে এ সপ্তাহে কত বই এসেছে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বই প্রয়োজন ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। এ পর্যন্ত বই এসে পৌঁছেছে ৩৫ লাখ। আরও ১ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি বই আসেনি। চট্টগ্রামে ২ হাজার ২৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর বাইরে ১৮০০ কিন্ডারগার্ডেনে যাবে সরকারি বই। সব মিলিয়ে এ বছর ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৬৬ হাজার বই এসে পৌঁছেছে।
সময় মতো বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থী রয়েছে তারা বছরের প্রথম দিনই বইয়ের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। বই উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা নানা প্রস্তুতি নেয়। যদি ঠিক সময়ে বই না পায়, তাহলে তাদের কোমলতি মন হতাশ হবে এবং শিক্ষারও ব্যাঘাত ঘটবে।
তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আশাবাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বই এসে যাবে। তবে শঙ্কা থাকলেও ১ জানুয়ারি সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও বই উৎসব হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। আমাদের এবছর বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৫ লাখ ২২ হাজার বই। আজকে পর্যন্ত ৫ লাখ ৬৬ হাজার বই এসেছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বই আসতে একটু সময় লাগছে। এখনো সময় আছে, অবশিষ্ট সময়ে চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই