সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদম রসুল এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড’র প্ল্যান্টের বিস্ফোরণের পর প্ল্যান্টের বিভিন্ন অংশ এক কিলোমিটার দূরে উঠে গেছে। প্ল্যান্টের বিভিন্ন অংশ উড়ে গিয়ে আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন উড়ে আসা প্ল্যান্টের লোহার টুকরো গায়ে পড়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
বিস্ফোরণস্থলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ২০০ মিটার পূর্বে। রাত ৮টার দিকে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে একটি লাকড়ি দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায়, ওই দোকানের টিনের চাল ভেদ করে অন্তত ৫০ কেজির একটি লোহার টুকরো দোকানের ভিতরে ঢুকে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে, প্লান্টের ওই অংশ দোকানের চাল ভেদ করে ভেতরে পড়লে দোকানে থাকা দোকান মালিক মোহাম্মদ ইউসুফের আত্মীয় শামসুল আলম (৬২) মারা যান। তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়েেনর জাহানাবাদ এলাকার মোস্তফা হুজুরের বাড়ির বাসিন্দা। নিহত শামসুল প্রায়ই ওই দোকানে সময় কাটাতেন।
বিস্ফোরণস্থল থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে বাদশা সওদাগর বাড়ি। ওই বাড়ির বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম সায়েম জানান, বিস্ফোরণের পর প্ল্যান্টের একটি অংশ উড়ে গিয়ে তার ঘরের টিনের চালে পড়েছে, যার ওজন ২'শ কেজির বেশি। এতে ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত না হলেও টিনের চাল দুই ভাগ হয়ে গেছে।
‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড’র প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর ওই লোহার প্ল্যান্টের বিভিন্ন অংশ আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আরও হতাহত হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি বিস্ফোরণস্থল থেকে ২'শ মিটার দূরে ছিলেন। বিস্ফোরণের পর তিনি প্রায় ৫ মিনিট ঠিকমতো কানে শুনতে পাচ্ছিলেন না। পরে ধীরে ধীরে কান স্বাভাবিক হয়।
বিস্ফোরণস্থলে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্ফরণে অন্তত ২'শ মিটার পর্যন্ত টিনশেড কারখানা বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। আশপাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির তারগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া পুরনো পাকাবাড়িগুলোর জানালা, সানসেট, ছাদের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের ২ কিলোমিটার এলাকা ভূমিকম্প হলে যেভাবে কাঁপে সেভাবে কেঁপে উঠে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত