চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রামের সমন্বয়কদের মধ্যে রাসেল আহমেদসহ মোট ১২ জন বক্তব্য রাখেন।
সমন্বয়করা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশকে সক্রিয় করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, শিক্ষার্থীদের সড়ক ব্যবস্থাপনার কাজে যানবাহন দেওয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সিট বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আমরা এখন একটা ক্রাইসিস মুভমেন্ট পার করছি। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবি যৌক্তিক। আমরা এসব দাবি সমর্থন করি। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তবুও পর্যায়ক্রমে সবগুলো দাবি পূরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে নগর ও জেলায় মিলে ৩২টি থানা আছে। নগরের অনেক থানায় ভাঙচুর হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তাই এখন যানবাহন সংকট। তবুও আমরা আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে, সাধারণ মানুষের জীবন নিরাপদ করতে কাজ শুরু করেছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম দেশের বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নগর। এখানে আছে বন্দর ও কাস্টমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তাছাড়া চট্টগ্রামে সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই আছে। এগুলো রক্ষা করা নাগরিক হিসাবে আমরা প্রত্যেকের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরাও দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে সরকারের কেপিআইগুলো রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এগুলো মূলত জনগণেরই সম্পদ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল