চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধের খোঁজে নেমেছে। রবিবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মশক নিধনে নতুন ওষুধ খোঁজের নির্দেশনা দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে নিত্য-নতুন কৌশলের পাশাপাশি মশা মারতে নতুন ওষুধ খুজতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে- এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা সেনা কল্যাণ সংস্থার কাছ থেকে মেডিসিন কিনছি। মশা নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনীর একটি ওষুধ আছে, বা আর কোন কোম্পানি যদি ভালো ওষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারে আমরা কোনো কম্প্রমাইজ করতে চাই না। মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু বিকল্পের কথা ভাবছি আমরা।
ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, যে সমস্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছেন, তাদের নামগুলো আমাকে দেন। তাদেরকে অবশ্যই পানিশমেন্টের আওতায় আনব। যারা সুপারভাইজার আছেন প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের আপনাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ ফাঁকিবাজি করলে এটার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। যদি আপনারা লুকাতে চান আমরা আল্টিমেটলি খবর পেয়ে যাব। প্রতিটি এলাকায় আমাদের লোকজন আছে।
মেয়র বলেন, আপনাদেরকে আমি স্পষ্ট বলতে চাই, কেউ গাফিলতি করলে, কেউ ফাঁকিবাজি করলে, কেউ কাজ না করলে লুকানোর চেষ্টা করবেন না। এটা আমাদেরকে ইনফর্ম করেন। দরকার হলে নতুন লোক দিয়ে কাজ করাব। আমি কাজ চাই। কাজ হতে হবে। না হয় জনগণ দুর্ভোগে পড়বে। জনগণ দুর্ভোগে পড়লে আল্টিমেটলি গিয়ে এটার দায় দায়িত্ব তো স্বাভাবিকভাবে আমাদেরকে নিতেই হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মশার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। যেভাবে হোক আমাদেরকে একটা জায়গায় আসতে হবে। জনগণ যাতে উপকৃত হয়। জনগণকে যাতে মশার কামড় খেয়ে হসপিটালে আসতে না হয় কিংবা মৃত্যুবরণ না করে এবং তারা কোন ডিস্টার্ব ফিল না করে। মশার ওষুধে যাতে কোনোভাবেই ঘাটতি না পড়ে। বর্তমানে চসিক মশা নিয়ন্ত্রণে যেসব ওষুধ ব্যবহার করছে তার মান যদি ভাল না হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যতে নিয়ে আসতে হবে। আপনারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। আমিও চেষ্টা করছি। বিভিন্ন জায়গায় নালা, ঝোঁপ-ঝাড় এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমরা লিফলেট বিতরণ করছি এটা আরও বাড়াতে হবে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা জিরোতে নিয়ে আসতে হবে। জনসচেতনতা আমরা যদি বৃদ্ধি করতে না পারি, তাহলে আল্টিমেটলি গিয়ে জনগণের আমরা কোন উপকারে আসতে পারব না।
বিডি প্রতিদিন/এএম