ঢাকার অদূরে সাভারে জাপান প্রবাসী প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগের সভাপতি এরশাদুর রহমান এরশাদকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার সকালে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত জাপান প্রবাসী রাজার বোন জামাই জসিম উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা জসিম ও হামজা।
এদিকে নিহত জাপান প্রবাসী রাজাকে কুপিয়ে হত্যার পরেও মূল আসামি এরশাদ উল্টো থানায় স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনাজ উদ্দিন মোল্ল্যার নামে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাকে আটক করেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, থানায় যাওয়ার পরে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এস এম কামরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতাররে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের রেডিওকলোনীতে ৯ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাভারের সহাকারী সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে জাপান প্রবাসী রাজাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এরশাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় আহত হয় আরও ৫ জন। আহত পাঁচ জনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব