সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে ঢাকায় বৈঠক হয়েছে। রবিবার অর্থ মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের রাজনৈতিক ঘনিষ্টজনেরাও।
বৈঠকে সিলেটের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে আগামীতে আরও কী কী উন্নয়ন প্রয়োজন- এসব বিষয়ও উঠে আসে আলোচনায়।
অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উন্নয়ন বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতি দুই অথবা তিন মাস অন্তর সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক হবে ঢাকায়। এসব বৈঠকে চলমান উন্নয়ন পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অধীনে বাস্তবায়নাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।
এছাড়াও জেলা ও জেলার বাইরে বিশেষ করে সিলেট-কোম্পানিগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ, সিলেট-সুনামগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সওজ এর অধীনে চলমান অন্যান্য প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে সমাপ্ত করার তাগিদ দেওয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়, বাদাঘাট-বিমানবন্দর বাইপাস সড়ক জাতীয় সড়কের সমমানে উন্নতি করতে চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। সিলেট ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডা.শামসুদ্দীন আহমদ বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল, সিলেট সদর হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানে দ্রুত করণীয় বিষয় নিয়ে সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়।
সভায় বাদাঘাটে নির্মানাধীন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মান কাজে ভাটা পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিলেট গণপূর্ত বিভাগকে তাগিদ দেওয়া হয়। সিলেট নগরীর বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নগরীর পানি সংকট সমাধানে সিলেটে স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে চালু করা হবে বলে সভায় জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সভায় বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন, আখাউড়া-সিলেট ট্রেন লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ, টুকেরবাজার বাদাঘাট এলাকায় নতুন একটি ফায়ার ষ্টেশন স্থাপনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
সভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুস ছবুর মিয়া, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ