ঈদে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরীর ছিনতাইকারীরা। নগরীর অর্ধশতাধিক স্পটে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অস্ত্রের মুখে দুর্বৃত্তরা পথচারী ও রিক্সা, অটোরিক্সা, টেম্পো যাত্রীদের গতি রোধ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে। ছিনতাইকারীদের হাতে হতাহতও হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১ নম্বর সিএন্ডবি পোল, বগুড়া কাজীপাড়ার মোড়, বৈদ্যপাড়ার মোড়, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে, চৌমাথা লেকের পাড়, গোরস্থান রোডের মোড়, মুন্সি গ্রেজ মোড়, করিম কুটির, ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড, ব্রাউন কম্পাউন্ড মহিলা কলেজের হোস্টেলের সামনে, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ চত্ত্বর, কাউনিয়া প্রধান সড়ক, ভাটার খাল, রায় রোড এবং হাসপাতাল রোড, নাজির মহল্লা, বান্দ রোড এলজিইডি অফিসের সামনে, ক্লাব রোড, জর্ডন রোড, সাগরদী ব্রীজের ঢাল, রূপাতলীর বটতলা, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতুর ঢাল ও বিএম কলেজের ১ম গেট সহ বেশ কিছু স্পটে তৎপর ছিনতাইকারীরা।
গত বছর ঈদুল আযহার সময় নগরীর হাসপাতাল রোডের 'ল' কলেজ এলাকায় ছিনতাইকারীদের ধারলো অস্ত্রের কোপে হাতের কব্জি হারান এক অটোরিক্সা যাত্রী।
মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নগরীজুড়ে প্রায় ৪০টি ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয়। প্রতিটি দলে রয়েছে ৩/৪জন করে সদস্য। অর্থাৎ নগরী জুড়ে প্রায় দেড় শতাধিক ছিনতাইকারী তৎপর। এদের মধ্যে কোন কোন গ্রুপ স্পটে দাড়িয়ে, আবার কোন কোন গ্রুপ মোটর সাইকেল কিংবা যানবাহনে ঘুরে যাত্রীদের গতিবিধি দেখে সুযোগমতো ছিনতাই করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুুখপাত্র সহকারী কমিশনার (ডিবি) মো. ফরহাদ সরদার জানান, ঈদের নিরাপত্তায় নগরীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এর পাশপাশি অপরাধপ্রবন এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারীসহ পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ