গুলশানের রেস্টুরেন্টে জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের 'স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাক্টিকস' (সোয়াট) টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার কুণ্ডু। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সুজনের মাথায়, হাতে এবং পায়ে অসংখ্য স্প্লিন্টার ঢুকেছে।
গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জিম্মি ঘটনার শুরুতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সোয়াটের একটি স্ট্যান্ডবাই টিম। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিতে নিহত হন ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান। এছাড়া সোয়াট টিমের ৫ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য।
সোয়াট টিমের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস আকন্দ জানান, আহতদের মধ্যে সুজনের অবস্থা সবচেয়ে আশংকাজনক। পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গলার নিচ থেকে পেট পর্যন্ত কাভার করে। জ্যাকেটে ঢাকা অংশ ছাড়া সুজনের শরীরের সব অংশে স্প্লিন্টার ঢুকেছে। অপারেশন শেষে তাকে আইসিইউতে রেখেছে চিকিৎসকরা।
একই ঘটনায় আহত সোয়াটের বাকি ৪ সদস্য হলেন- নায়েক আক্তার হোসেন, কনস্টেবল মাসুদ, সহকারী এসআই (এএসআই) বাপ্পি, কনস্টেবল সজীব। তবে তারা আশংকামুক্ত বলে জানা গেছে।
এছাড়া পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আহাদুজ্জামান ও গুলশানের ওসি সিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের মোট ২২ জন সদস্য ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার বিকেলে তাদের দেখতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সে সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে তাদের 'জাতীয় বীর' বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ