২০১৫ সালের শুরুর দিকে সরকার বিরোধী টানা আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপনের জন্য সরকারি নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আশীষ পালের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান মুরাদ। অভিযোগপত্রে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপি নেত্রী সিটি করপোরেশনের ৩নম্বর প্যানেল মেয়র শরীফ তাসলিমা কালাম পলিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন: বরিশাল মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, আরিফুর রহমান মুন্না, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তসলিম হাওলাদার ওরফে বড় তসলিম, বিএম কলেজ ছাত্রদলের একাংশের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা সোহেল রাড়ি, জামায়াতের সদস্য মঞ্জুরুল করিম, যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মামুন, কড়াপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হুমায়ুন কবির তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান মীর, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. কবির মিয়া, ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি বশির খান, ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, জাগুয়া ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সাদিকুর রহমান মিঠু ও ছাত্রদল নেতা মো. শফিউল হাসান জনি।
অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে নগরীর হাসপাতাল রোডের কালী শীতলা মন্দিরের সামনে জনমনে ভীতি সৃষ্টির লক্ষে অভিযুক্তরা অবৈধ জনতাবদ্ধ হয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় (ইজি বাইক) পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহান উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দিনই বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, যুবদল এবং সেচ্ছাসেবক দলের ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ