পাইপে পড়ে চার বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় জামিন বাতিলের বিষয়ে ৬ আসামিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, এ মামলায় ৫ জন সাক্ষী আদালতের নির্দেশে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন। এরপর ৩ জন সাক্ষী অজ্ঞাত কারণে সাক্ষ্য না দিয়ে আদালত থেকে চলে যান। এ কারণে রাষ্ট্র পক্ষের অইনজীবী শওকত আলম দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানায়, জামিনে মুক্ত আসামিদের হস্তক্ষেপের কারণে আদালতে উপস্থিত সাক্ষীরা সাক্ষ্য না দিয়ে চলে গেছেন।
পরে নথি পর্যালোচনায় আদালত মনে করে, রাষ্ট্র পক্ষের ওই দরখাস্ত যুক্তিযুক্ত। তবে আসামিরা জামিন থাকায় এবং রাষ্ট্র পক্ষের ওই দরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। জামিনে মুক্ত ৬ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ২৬ অক্টবর লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবু আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর খেলার সময় রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পানির পাম্পের পাইপের ভেতর পড়ে যায় শিশু জিহাদ। ২৩ ঘণ্টা পর মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল