নিম্ন আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকা দরে চাল বিক্রির অনিয়ম খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি চাল বিক্রির বিষয়টি পর্যবেক্ষণের মধে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. আবু সাইদ বলেন, ‘আমরা আপাতত চাল বিক্রিতে অনিয়ম হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যবেক্ষণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ধরা পড়লে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে নিয়ম না মানার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে দুদুকের পর্যবেক্ষক দল ছাড়াও রাউজান, হাটহাজারী ও বোয়ালখালী উপজেলায় দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক নিজে গিয়ে এই কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছেন। আনোয়ারা এবং বাঁশখালী উপজেলায় দু’জন সহকারি পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত দুটি পৃথক টিম পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজারে উপ-পরিচালকের নেতৃত্বেও একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১০ টাকা দামে চাল বিক্রিতে গরিবের বদলে ধনীদের কাছে চাল বিক্রি, ওজনে কম দেওয়া, ৩০ কেজি চাল দেওয়ার টিপসই নিয়ে ১০ থেকে ২০ কেজি দেওয়া, হতদরিদ্রের নাম তালিকায় না আনা, নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য এবং নিম্নমানের চাল দেওয়ার মতো অভিযোগ পেয়েছে দুদক কর্তৃপক্ষ। এসব অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে দুদক।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ নভেম্বর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন-০১